কাঁকুড়ে মাটির লাল রাস্তায়
বহুদিন পর পা'টা রাখলাম।
পথের দুধারে গাছের ছায়ায়
মাতার স্পর্শ, আদর পেলাম।
মাঠের পানেতে মনে হল চেয়ে
নবীন শিল্পী হয়তো বা কোনো;
কাঁচা হাতে তার ভুলে তুলি দিয়ে
রঙ লাগিয়েছে আনমনে যেনো।
কোথাও সবুজ অতি গাঢ় তাই;
কোথাও আবার হালকা দেখায়।
বুঝেছি এবার ধানের বরণ;
রাবণ করেনি এখনো হরণ।
নীল রেখা ধারে সাদা সাদা ছোপ,
অজয়ের ধারে কাশ-ফুল-ঝোপ।
একটু এগোতে পুরনো সাঁকোটা
বসে গেছে নীচে বয়সের ভারে।
নালার ধারেতে খেজুর গাছটা
তাকায় আমার দিকে বারে বারে।
চেনার চেষ্টা করছে হয়তো,
এই সেই বদমাশটা নয়তো।
মাঝা ভাঙা সেই কুকুর এখনো
চালিয়ে যাচ্ছে কষ্টে হাঁপানো।
সব দেখে আমি আসলাম শেষে।
পথ চেয়ে বুড়ো লাঠি হাতে বসে--
কাঁচের আড়ালে ঘোলা চোখ গুলো
অপেক্ষায় যেন ঝাপসা হল।
'দাদু' বলে যেই আমি ডাকলাম,
বুড়োর খুশি দেখে অবাক হলাম।
হাত পা কাঁপছে, চোখ ভরা জলে,
গদ গদ স্বরে বুড়ো বলে চলে--
"কোথায় ছিলিস এতদিন ভাই।"
"আগে বলো বুড়ি তোমার কোথায়?"
"ঐ দেখ ভাই, চুলোটার পাশে,
কুঁজো হয়ে রাঁধে, ধোঁয়া লেগে কাশে।"
"ওগো দাদিজান আমার জন্য
কী কী চাপিয়েছো উনুনে অন্ন?"
"ওরে ভাইজান কোথা তুই ছিলি?
পড়েনাকি মনে; বুঝি ভুলে গেলি।"---
কপালে দিয়ে চুমা দাদি বলে কেশে।
কোলে রেখে মাথা আমি বলি হেসে--
"পাথর ও ইঁটে পুরো ডুবে গেছি;
No comments:
Post a Comment